 
                  বাংলাদেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতাদের হাঁসফাঁস অবস্থা। দোষী কারা—সরকার, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নাকি বৈশ্বিক সংকট?
_মুক্তিবার্তা৭১
বাংলাদেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রতিদিনই যেন নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, আটা—এসব দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে দুঃসহ করে তুলেছে। রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বাজারে একই চিত্র—ক্রেতাদের হাঁসফাঁস এবং হতাশা।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ পরিস্থিতি তিনটি কারণে তৈরি হয়েছে। প্রথমত, বাজারে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অস্বাভাবিক মুনাফা প্রবণতা।
দ্বিতীয়ত, সরকারের পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিংয়ের দুর্বলতা। তৃতীয়ত, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ, বিশেষ করে জ্বালানি ও পরিবহন ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতি।
এর ফলে সাধারণ ক্রেতারা প্রতিদিনই নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা খাচ্ছেন।
ঢাকার নিউ মার্কেট ও কাওরানবাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ ও ডালের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ভোজ্যতেলের দামও লাফিয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো মাসিক বাজেট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
অন্যদিকে, কৃষকরা অভিযোগ করছেন—তারা উৎপাদনের সঠিক দাম পাচ্ছেন না, অথচ ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর সময় দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।
অর্থাৎ উৎপাদন ও ভোগের মাঝের “সাপ্লাই চেইন” এ কোথাও বড় ধরনের অস্বচ্ছতা রয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যদি সরকার কার্যকরভাবে বাজার মনিটরিং না করে এবং সিন্ডিকেট ভাঙার কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তবে আসন্ন ঈদ ও উৎসব মৌসুমে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, নিত্যপণ্যের এই লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি শুধু গরিব নয়, মধ্যবিত্ত শ্রেণিকেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
ফলে সামাজিক অস্থিরতা ও অসন্তোষ বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
প্রশ্ন এখন একটাই—সরকার কি সিন্ডিকেট ভেঙে বাজারে স্বস্তি ফেরাতে পারবে, নাকি সাধারণ ক্রেতাদের হাঁসফাঁস অবস্থা আরও দীর্ঘায়িত হবে?

 
                         
         
         
        