ট্রিপল মার্ডার মামলায় নতুন মোড়। উপদেষ্টা আসিফের বাবার প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে এই হত্যাকাণ্ডে। গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন বেঁচে যাওয়া নারী।
রাজধানীর বহুল আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলায় নতুন করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গন। এই হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যাওয়া এক নারী এবার সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফের বাবার বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেছেন, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ের পাশাপাশি পারিবারিক প্রভাবও কাজ করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন— “হত্যাকারীরা শুধু ভাড়াটে খুনি নয়, তাদের পেছনে শক্তিশালী গডফাদাররা আছে।
উপদেষ্টা আসিফের বাবা এই হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। আমরা ন্যায়বিচার চাই, আমি চাই অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করা হোক।”
রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দাবি শুধুই আবেগের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এর মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার ও আইনি প্রক্রিয়ার দুর্বলতাও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
আসিফ বর্তমানে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পদে থাকায় তার পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা এ অভিযোগে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
মামলার অগ্রগতি কোথায়?
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মামলার চার্জশিট প্রক্রিয়াধীন থাকলেও প্রকৃত হোতাদের গ্রেপ্তার নিয়ে টালবাহানা চলছে।
নিহতদের পরিবার ও বেঁচে যাওয়া নারী অভিযোগ করেছেন— তদন্ত ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করা হচ্ছে।
এতে একদিকে ভুক্তভোগীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে, অন্যদিকে জনমনে সরকারের ওপর আস্থাহীনতা সৃষ্টি হচ্ছে।
ন্যায়বিচারের দাবি
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, যদি উপদেষ্টা আসিফের বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের মুখোমুখি করা জরুরি।
অন্যথায় পুরো বিচার প্রক্রিয়া ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ট্রিপল মার্ডার মামলায় ভুক্তভোগীর সরাসরি অভিযোগ নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সরকার যদি নিরপেক্ষভাবে ব্যবস্থা না নেয়, তবে এই মামলা রাজনৈতিক রঙে রঞ্জিত হয়ে ন্যায়বিচার থেকে আরও দূরে সরে যাবে।
