 
                  কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে শুধু টাকা নয়, জনগণের ভালোবাসার বার্তাও জমা হয়। এবারে এক চিরকুটে লেখা হয়েছে শেখ হাসিনার প্রতি আস্থার প্রতীকী বার্তা।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদ কেবল একটি ধর্মীয় উপাসনালয় নয়; এটি হয়ে উঠেছে মানুষের বিশ্বাস, আস্থা ও আধ্যাত্মিকতার এক প্রতীক। প্রতি কয়েক মাস পরপর যখন দানবাক্সগুলো খোলা হয়, তখন সারা দেশবাসী বিস্মিত হয় বিপুল অঙ্কের নগদ অর্থ, সোনা-রূপার অলঙ্কার এবং বিভিন্ন দেশের মুদ্রার প্রাচুর্যে। এবারের দানও ব্যতিক্রম নয়।
৪ মাস ১৮ দিন পর খোলা হলো মসজিদের ১৩টি দানবাক্স।
সকাল ৭টা থেকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া এ কাজ চলে দীর্ঘসময় ধরে।
সংগৃহীত টাকাগুলো ভরতে লেগেছে মোট ৩২টি বস্তা।
সঙ্গে এসেছে সোনা-রূপা ও বিদেশি মুদ্রা।
অংশ নিয়েছেন চার শতাধিক মানুষ—মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা, মসজিদ কমিটির সদস্য ও প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা।
কিন্তু এবারের দানে মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে এক বিশেষ বার্তা।
একটি ছোট্ট চিরকুটে লেখা—
“শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে।
শেখ হাসিনা বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”
এই বার্তাটি নিছক রাজনৈতিক স্লোগান নয়; বরং এটি সাধারণ মানুষের অন্তরের অনুভূতি ও বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।
ধর্মীয় স্থানের পবিত্র দানবাক্সে রেখে যাওয়া এই চিরকুট প্রমাণ করে, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে শেখ হাসিনা মানুষের ভালোবাসা ও প্রার্থনার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
শেখ হাসিনার দীর্ঘ নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে ধারাবাহিক উন্নয়ন হয়েছে, তার বাস্তব প্রমাণ দেখেছে মানুষ।
- দারিদ্র্য বিমোচন
- নারীর ক্ষমতায়ন
- শিক্ষা বিস্তার
- স্বাস্থ্য খাতে আধুনিকায়ন
- অবকাঠামো উন্নয়ন
এসব ক্ষেত্রের সাফল্য গ্রাম থেকে শহর, পাহাড় থেকে সমতল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল।
সাধারণ মানুষ তাই তাঁকে কেবল রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়, মানবিক নেতা হিসেবেই মূল্যায়ন করেছে।
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে অর্থের পাশাপাশি যে চিরকুট রাখা হলো, তা একটি সামাজিক মনস্তত্ত্বের প্রতিফলন।
মানুষ যখন রাষ্ট্রনায়কের প্রতি তাদের গভীর আস্থা প্রকাশ করতে চায়, তখন তা রাজপথে নয়, বরং মসজিদের মতো পবিত্র স্থানের দানবাক্সেও স্থান পায়।
এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত।
পাগলা মসজিদের দান শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রতীক নয়; এটি মানুষের ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিকতার প্রকাশ।
এবারের চিরকুটটি দেখিয়ে দিল, শেখ হাসিনা আজও কোটি মানুষের আস্থা ও আশার কেন্দ্রবিন্দু।
তাই বলা যায়—
“যেখানে মানুষ দান করে হৃদয় উজাড় করে, সেখানেও শেখ হাসিনার প্রতি ভালোবাসার স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে।”

 
                         
         
         
         
        