 
                  এনসিপি নেত্রী ডা. মাহমুদা মিতু প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তার মতে, ইউনূস নিজের লোকদের আগামী ১০০ বছরের খাবারের ব্যবস্থা সিস্টেমে ফাইনাল করে ফেলেছেন।
বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু। রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি দাবি করেন, ইউনূস ব্যবসাটা ভালো বোঝেন এবং এভাবেই তিনি নিজের স্বার্থ ও ঘনিষ্ঠ মহলের ভবিষ্যৎ শত বছরের জন্য সুরক্ষিত করছেন।
মাহমুদা মিতু লিখেছেন— “মাথা নত করারও একটা লেভেল থাকে। তবে ব্যবসাটা ভালো বুঝছে পাগলায় (ড. মুহাম্মদ ইউনূস)।
গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি পাস করছে, হাসপাতাল করা, কর মওকুফ, বছর বছর ধরে তার এনজিও বন্ধুদের এম্পাওয়ার করা মানে নিজের লোকজনকে আগামী ১০০ বছর খাওয়ার ব্যবস্থা সিস্টেমে ফাইনাল করছে।”
তিনি আরও বলেন, “উনাকে দেখে মেরুদণ্ডহীন, অতি জ্ঞানীদের আমি ঘৃণা করা শিখেছি।”
রাজনৈতিক তাৎপর্য
মাহমুদা মিতুর এই বক্তব্য শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সমালোচনা নয়, বরং সরকারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও অবিশ্বাসের ইঙ্গিত বহন করছে।
তিনি যেভাবে ইউনূসের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্তগুলোকে ঘিরে দলীয় ভেতরে প্রশ্ন উঠছে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া
স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়। অনেকেই মন্তব্য বক্সে বিস্তারিত জানতে চান।
কেউ কেউ তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন, আবার অনেকে এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের ভেতর থেকে আসা এ ধরনের সমালোচনা সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মূল পয়েন্ট
- এনসিপি নেত্রী ডা. মাহমুদা মিতুর বিস্ফোরক মন্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে স্বার্থপর হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।
- তিনি অভিযোগ করেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও এনজিওর মাধ্যমে ইউনূস তার লোকজনকে দীর্ঘমেয়াদে সুবিধা দিচ্ছেন।
- সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।

 
                         
         
         
        