আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা বহাল রেখেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা বহাল রেখেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (মাসুদ) আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করলেও,
আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির।
আদালতের রায়ে বলা হয়, বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া আইনসম্মত ছিল না, তাই পূর্বের সাজা বহাল রাখার কোনো সুযোগ নেই।
প্রেক্ষাপট
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং আহত হন তিন শতাধিক নেতাকর্মী।
আওয়ামী লীগের দাবি ছিল—এটি ছিল একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞ, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করা এবং আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করা।
২০০৮ সালের পর মামলার তদন্ত পুনরায় শুরু হলে বিএনপি-জামায়াত সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী, তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের অভিযুক্ত করা হয়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত এই মামলার রায় দেয়—যেখানে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড।
তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং কয়েকজন পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
কিন্তু ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রায় দিয়ে বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ ঘোষণা করে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে।
প্রায় নয় মাসের শুনানি শেষে আজ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের খালাসের রায় বহাল রাখে।
