 
                  বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, যারা দেশই চায়নি তাদের সততা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। জামায়াত-শিবিরের সততা প্রসঙ্গে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু জামায়াত-শিবিরের ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা এই গোষ্ঠী আজও রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থাকার কারণে বিভিন্ন সময়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। সম্প্রতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু তাদের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন— “যারা দেশই চায়নি, তাদের আবার সততা কী?”
টক শোতে দুদুর মন্তব্য
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন,
“বাংলাদেশ যারা চায়নি, পাকিস্তান যারা চেয়েছে তাদের সততা কী? আমি তো রাজনীতির কথা বলছি। আপনারা বলেন, তাদের সততা কী? পকেট থেকে টাকা বের করে ডাইনিং টেবিলে গুনে খাওয়াটাই কি সততা?”
তার এই বক্তব্য সরাসরি জামায়াত-শিবির ও তাদের উত্তরসূরিদের রাজনৈতিক সততার প্রশ্নে ফেলে দেয়।
ছাত্রদল প্রসঙ্গ
আলোচনায় যখন ছাত্রদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়, তখন দুদু তা সরাসরি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন,
“ছাত্রদলের কারো নাম বলেন যার নামে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। নির্দিষ্ট করে বলুন। নয়তো অভিযোগ করা অন্যায়।”
তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্ররাজনীতিকে পরিকল্পিতভাবে দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচন স্থগিত রেখে ছাত্র অঙ্গনে নির্বাচন না দেওয়ার অভিযোগও করেন তিনি।
দুদুর বক্তব্যে দুটি বড় বিষয় উঠে আসে—
১. জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক বৈধতা ও সততা নিয়ে প্রশ্ন।
২. ছাত্রদলের ভাবমূর্তি রক্ষা ও অভিযোগ মোকাবিলায় বিএনপির অবস্থান।
বাংলাদেশের জনগণের কাছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী গোষ্ঠীর স্থান এখনও বিতর্কিত। কাজেই দুদুর প্রশ্ন—“যারা দেশই মানেনি, তাদের সততা কেমন?”
—এটি কেবল রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার কৌশলও বটে।
অন্যদিকে, ছাত্রদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে দুদু সরাসরি খারিজ করে দিয়ে বিএনপির ছাত্র রাজনীতির শুদ্ধতা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন।
তবে বাস্তবে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা থেমে নেই। শামসুজ্জামান দুদুর বক্তব্য নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
জামায়াত-শিবিরের ভূমিকা এবং ছাত্রদলের ভাবমূর্তি—দুটোই বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তবে জনগণ এখন চায় সৎ নেতৃত্ব, স্বচ্ছ রাজনীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সত্যিকারের গণতন্ত্র।

 
                         
         
         
        