 
                  বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে জনতার আস্থা আবারও শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনকে অবধারিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের বিজয়ের বিশ্লেষণ পড়ুন এখানে।
বাংলাদেশ আজ আবারও এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকে দুর্বল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে। মিথ্যা মামলা, হয়রানি, গুজব ও বিদেশি প্রভুদের ইশারা—সবকিছু মিলিয়ে দেশবিরোধী চক্রের চেষ্টা স্পষ্ট। তারা ভাবে, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে দমন করলে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল সহজ হবে। কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষা হলো—যারা জনগণকে বঞ্চিত করতে চায়, তারা কখনো টিকে থাকতে পারে না। ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজয় অনিবার্য।
এই দেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তে সিক্ত।
তারই কন্যা শেখ হাসিনা স্বাধীনতার পরবর্তী প্রজন্মকে শুধু নেতৃত্ব দেননি, বরং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক যাত্রাকে নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
উন্নয়নের রূপকার হিসেবে তিনি পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বিদ্যুতায়ন, তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব, নারীর ক্ষমতায়ন—সব ক্ষেত্রেই অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
ফলে শেখ হাসিনা শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস ও জাতিসত্তার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
ঠিক এই কারণেই দেশবিরোধী শক্তি তার বিরুদ্ধে সক্রিয়।
তারা জানে, শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশকে কেউ থামাতে পারবে না।
তাই নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে জনগণের নেত্রীকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে।
কিন্তু এই চেষ্টার ব্যর্থতা স্পষ্ট।
কারণ শেখ হাসিনা জনগণের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত।
সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর মন্তব্য করেছেন—
“বিজয়ের মালা নিয়েই শেখ হাসিনা ফিরবেন।”
এটি নিছক কূটনৈতিক বক্তব্য নয়, বরং বাস্তবতার প্রতিধ্বনি।
শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন মানে কোটি মানুষের বিজয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিজয় এবং গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন।
আজ যারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়েছে, তারা হয়তো সাময়িকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে।
কিন্তু ইতিহাসে তাদের নাম লেখা থাকবে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে।
জনগণের আদালতই হবে তাদের বিচারক, আর সেই আদালত থেকে পালানোর কোনো পথ নেই।
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা মানে নতুন এক জাগরণের সূচনা।
দেশের কোটি মানুষের চোখে এটি হবে আশার আলো, প্রবাসীদের মনে গর্ব, আর বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা, বৈদেশিক বিনিয়োগ, আঞ্চলিক সহযোগিতা—সবই আবার নতুন গতি পাবে।
রাজনীতির ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে, ষড়যন্ত্র ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু জনগণের ইচ্ছাশক্তি অদম্য।
শেখ হাসিনা সেই জনগণের প্রতিনিধি, সেই ইতিহাসের ধারা।
তার প্রত্যাবর্তন কেবল একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়; এটি একটি জাতির আত্মবিশ্বাস ও আত্মপরিচয়ের পুনর্জাগরণ।
আজকের বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সত্য হলো—
ষড়যন্ত্রকারীরা মুছে যাবে, বিজয় হবে বাঙালির।
শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন অবধারিত।

 
                         
         
         
        