নরসিংদীর আরশিনগরে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শামিম আনোয়ারের ওপর হামলা চালায় ৩০-৩৫ জন। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নরসিংদীর সড়কে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শামিম আনোয়ারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে পৌর শহরের আরশিনগর এলাকায় টহলকালীন অবস্থায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহত অবস্থায় শামিম আনোয়ারকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে এএসপি শামিম আনোয়ার বলেন,
“সকালে নিয়মিত টহল চলাকালে আরশিনগর এলাকায় দুই ব্যক্তিকে যানবাহন থেকে টাকা তুলতে দেখি।
আমি জিজ্ঞাসা করি, তারা কী ভিত্তিতে টাকা নিচ্ছে। তখন জানাই যে, হাইকোর্টের চাঁদা তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে এবং হঠাৎ ৩০-৩৫ জন লোক আমার ওপর হামলা চালায়।”
তিনি আরও বলেন,
“তারা প্রথমে কিল-ঘুষি মারে, পরে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।
পরে সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
অপরদিকে, ইজারাদার মো. আলমগীর দাবি করেন,
“আমি পৌরসভা থেকে ২৫ লাখ টাকায় স্ট্যান্ডের ইজারা নিয়েছি। অথচ শামিম আনোয়ার প্রায়ই আমাদের টাকা তুলতে বাধা দেন।
এর আগেও আমাদের দুইজনকে জেলে পাঠিয়েছিলেন। আজও আমাদের লোকজনকে আটক করেন।
আমাদের যদি বৈধভাবে কাজ করতে না দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের টাকাও ফেরত দেওয়া হোক।”
তবে পুলিশের দাবি, পথে চাঁদা তোলা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।
চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এএসপি শামিম আনোয়ার সম্প্রতি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন।
হামলার ঘটনার পর পুলিশ এলাকা পরিদর্শন করলেও, এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি কিংবা কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনায় স্থানীয়ভাবে উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
