আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পরিবর্তে রাজপথে মিছিলে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়াই সম্মানের বলে দাবি করছেন দলের একাংশ। রাজনীতি ও প্রতিরোধের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রতিবেদন।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে দলীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। তবে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা পালিয়ে পালিয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার চেয়ে রাজপথে মিছিলে গিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়াই বেশি সম্মানের বলে দাবি করছেন। এ ধরণের প্রত্যক্ষ প্রতিরোধের মাধ্যমে তারা তাদের রাজনীতিতে দৃঢ় অবস্থান এবং জনগণের পাশে থাকার সংকল্প ব্যক্ত করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘রাজপথে মিছিলে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া রাজনৈতিক নেতাদের জনসম্মুখে দৃষ্টিভঙ্গি ও আদর্শের প্রকাশ।
এটি শুধু রাজনৈতিক সাহসিকতার পরিচায়ক নয়, বরং তাদের মক্কেল-জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রতীক।’
পালিয়ে যাওয়া বা গোপন হওয়া অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের সমালোচনা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে মিছিলে অংশ নেওয়া নেতা- কর্মীরা জনসম্মুখে নিজেদের নৈতিক উচ্চতা প্রতিষ্ঠা করতে চান।
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ মহল থেকে জানা যায়, দলের কিছু নেতা এ বিষয়ে এমন মত ব্যক্ত করেছেন যে,
‘আমরা যখনই রাজপথে মিছিলে অংশ নিয়ে গ্রেপ্তার হই, তখনই আমাদের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ পায়।
এটি একটি আত্মনিবেদন, যেখানে আমরা নিজেদের রাজনৈতিক দায়িত্ব ও সংকল্পের প্রমাণ দিচ্ছি।’
তারা মনে করেন, ‘গ্রেপ্তারের ভয় এড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার বদলে সম্মানের সঙ্গে রাজপথে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক সংগ্রামে অংশ নেওয়া শ্রেয়।’
যেখানে গ্রেপ্তারের ভয়ে নয়, বরং রাজনৈতিক আদর্শের জন্য আত্মত্যাগের মানসিকতা প্রকাশ পাচ্ছে।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে যতটা কঠিনই হোক না কেন, নেতারা জনগণের সামনে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে ও দলকে শক্তিশালী করতে সচেষ্ট।
এ ধরণের গণমিছিল ও জনসমর্থন ভিত্তিক প্রতিবাদগুলো রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। নেতারা জানাচ্ছেন,
‘এটি শুধু ব্যক্তিগত সাহসিকতা নয়, বরং দলের ঐক্যবদ্ধতা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রমাণ।’
নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকার অবশ্য গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থান নিয়ে থাকে।
তবে রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ জনগণের চোখে মিছিলে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া নেতারা একটি আলাদা মর্যাদা অর্জন করছেন।
পরিশেষে বলা যায়, পালিয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পরিবর্তে রাজপথে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়াকে আওয়ামী লীগের একাংশ নেতারা রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ নয়,
বরং সংগ্রাম ও সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে দেখছেন। এটি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক প্রতিরোধের নতুন ধারা সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
