 
                  ফিলিস্তিনের জন্য লাখো মানুষের প্রতিবাদে দেশের তথাকথিত দালাল মিডিয়ার নীরবতা। তারা জনগণের স্বার্থ নয়, সরকারের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত। জানুন কেন দেশের মিডিয়া এখন জনগণের শত্রুতে পরিণত হয়েছে।
ঢাকা, এপ্রিল ২৬:
আজ দেশের হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে মানবতার পক্ষে, সত্যের পক্ষে, ফিলিস্তিনের জন্য। কিন্তু দেশের তথাকথিত মূলধারার মিডিয়া—চুপ! যেন কিছুই ঘটেনি। দেশের মিডিয়া এখন জনগণের শত্রুতে পরিণত হয়েছে।
সরকারের স্বার্থে চলা মিডিয়ার নীরবতা:
প্রশ্ন উঠছে—কেন এই নীরবতা?
কারণ এই মিডিয়ার চোখ শুধু সরকারের ইশারায় খোলে, এবং সরকারের স্বার্থে চলে। জনগণের স্বার্থ, মানবতার আহ্বান—সবই তাদের কাছে মূল্যহীন। এই মিডিয়া গুলো আসলে সরকার এবং ক্ষমতার দালাল, যারা টাকা আর প্রভাবের গোলাম হয়ে গেছে।
সাংবাদিকতার মুখোশে দালালি:
এই তথাকথিত মিডিয়া সাংবাদিকতার নাম ভাঙিয়ে দালালি করে। দেশের মানুষ, দেশের স্বপ্ন, দেশের স্বাধীনতা—সবকিছু এদের কাছে তুচ্ছ। এদের কাজ কেবল সরকারের চাটুকারিতা করা এবং মিথ্যা প্রচার চালানো। সত্য-মিথ্যার তফাৎ এদের কাছে অর্থহীন; এদের একমাত্র বিবেচ্য বিষয় সরকারের মনোরঞ্জন।
সরকারের দালাল, টাকার গোলাম মিডিয়া:
এই মিডিয়াগুলোর কাজ এখন একটাই—সরকারের চামচামি করা।
সরকারের ইশারায় চোখ খোলে, টাকার ইশারায় কলম চলে।
দেশ যদি বিক্রি হয়ে যায়, স্বাধীনতা যদি মাটিতে মিশে যায়—তবুও এরা সরকারের পা চেটে যাবে।
কারণ এরা আর সাংবাদিক নয়, এরা ভাড়াটে দালাল, বিবেকবিক্রেতা ক্রীতদাস!
সাংবাদিকতার মুখোশ ছিঁড়ে পড়েছে:
আজ যারা মজলুমের কান্না দেখেও চোখ বুজে থাকে, যারা লাখো মানুষের প্রতিবাদের ধ্বনি শুনেও কান ঢেকে থাকে—তাদের আর সাংবাদিক বলার অবকাশ নেই।
এরা হল ইতিহাসের কলঙ্ক, জাতির লজ্জা।
এরা রিপোর্ট লেখে না, এরা চাটুকারিতার বিজ্ঞপ্তি ছাপায়!
জনগণের ক্ষোভ:
যারা লাখো মানুষের স্লোগান শুনেও না শোনার ভান করে, যারা মজলুমের কান্না দেখেও চোখ বন্ধ রাখে—তাদের মানুষ বলারই যোগ্যতা নেই। দেশের মানুষ আজ এদের চেনে, এদের চেহারা মনে রেখেছে। জনগণের ধৈর্য অসীম, কিন্তু সময় এলে বিশ্বাসঘাতকদের জবাব দিতে কখনো দেরি করে না।
 মানুষ মনে রেখেছে কারা তাদের সাথে, কারা তাদের বিরুদ্ধে।
যখন সময় আসবে, এই দালাল মিডিয়াকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলা হবে।
বিবেকবিক্রেতাদের জন্য জনগণের হাতে থাকবে না কোনো করুণা, থাকবে শুধুই বিচারের হুকুম
শেষ কথা:
এই দালাল মিডিয়াগুলো এখন দেশের গায়ে কলঙ্ক, জাতির বিবেকের ঘাতক। জনগণ জানে—এই মিডিয়ার আসল চরিত্র কী, এবং ইতিহাসের বিচারে এদের স্থান কোথায়।

 
                         
         
         
        