রাঙামাটিতে সেনাসদস্য হত্যাকাণ্ডে রাষ্ট্রীয় ও মিডিয়া স্তরে নীরবতা কেন? কারা এই হামলার পেছনে, কেন এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি নেই? বিশ্লেষণমূলক কলামে উঠে এসেছে ঘটনাটির বিভিন্ন দিক।

রাঙামাটির রক্তাক্ত পাহাড়: কোথায় রাষ্ট্র?
রাঙামাটির দুর্গম এক এলাকায় গত কয়েক দিনে যা ঘটেছে, তা নিঃসন্দেহে জাতির বিবেককে নাড়া দেওয়ার মতো। কথিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন—এমন খবর একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করলেও, কোথাও এই বিষয়ে বিস্তৃত সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। হয়নি কোনো সরকারি বিবৃতি, সেনাসদরের কোনো প্রতিক্রিয়া, এমনকি তথাকথিত ‘দেশপ্রেমিক’ জনমতেও এই ঘটনার ছায়া নেই।
কেন এই নীরবতা?
এমন এক দেশে, যেখানে সামরিক বাহিনী শুধু নিরাপত্তা বাহিনী নয়, বরং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রধান খুঁটি, সেখানে একজন সেনাসদস্যের মৃত্যু এমনভাবে ধামাচাপা পড়বে, তা সাধারণ নাগরিকদের কাছে গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
- সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না আসা কি তথ্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা?
- মিডিয়ায় সংবাদ না হওয়া কি ইচ্ছাকৃত blackout?
- রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টারা কেন চুপ?
এমন প্রশ্ন এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
ঘটনাটি একেবারেই সত্য। স্থানীয়রা জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের এক অঞ্চলে পাহারা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন এক সেনাসদস্য। তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। তবে রহস্যজনকভাবে, জাতীয় বা স্থানীয় মিডিয়ায় এই সংবাদ নেই।
কারা জড়িত?
রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনা ঘটিয়েছে কোনো এক পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বা সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল। কিন্তু প্রশাসন বা সেনাসদর থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না আসায়, নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
রাষ্ট্রের দায়িত্ব কোথায়?
জাতির প্রতি সেনাসদস্যদের দায়িত্ব যেমন রয়েছে, তেমনি রাষ্ট্রেরও তাদের প্রতি সম্মান, সুরক্ষা ও ন্যায়ের প্রতিশ্রুতি থাকা উচিত। একজন সেনাসদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় সরকারের এই নিরবতা এবং সংবাদমাধ্যমের নিশ্চুপতা কেবল উদ্বেগই নয়, জাতির মূল্যবোধ নিয়েও প্রশ্ন তোলে।
শেষ কথা
দেশপ্রেম শুধু খেলা বা স্লোগানে সীমাবদ্ধ নয়। যখন রাষ্ট্রের একজন সশস্ত্র রক্ষক নির্দয়ভাবে নিহত হন, তখন জাতি হিসেবে আমাদের প্রতিবাদ জানানো ও সত্য জানতে চাওয়া কর্তব্য। যারা ক্ষমতার জন্য সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভর করেন, তারা যদি এই মৃত্যুর বিচার চান না, তবে সেটিই সত্যিকারের জাতীয় সংকট।
📢 পাঠকদের উদ্দেশে প্রশ্ন:
আপনি কী মনে করেন—এই ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র ও সংবাদমাধ্যমকে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত নয় কি?

 
                         
         
         
        