নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযানের প্রস্তুতি; মার্কিন ও পাক গোয়েন্দা সংস্থার ছায়া পড়েছে অভিযানের পেছনে
বাংলাদেশে আবারও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ঘনীভূত হচ্ছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, ইউনুস ও তার ঘনিষ্ঠ মহল ক্ষমতায় দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকতে ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট–টু’ নামে একটি গণগ্রেফতার অভিযান চালুর পরিকল্পনা করেছে।
এই অভিযানের লক্ষ্য হবে—বিএনপি, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ব্যক্তিদের দমন এবং আসন্ন নির্বাচন প্রক্রিয়া বানচাল করে ইউনুসের একক ক্ষমতা ধরে রাখা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গোপন বৈঠক;
বৃহস্পতিবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিযুক্ত ইউনুসের বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর বাসভবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র সচিব।
সেখানে আসন্ন নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির আন্দোলন দমন–সংক্রান্ত কৌশল নির্ধারণ করা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’–এর ধাঁচে একটি যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করা হবে, যা মূলত বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর কেন্দ্রিত হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গোপন বৈঠক;
বৃহস্পতিবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিযুক্ত ইউনুসের বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর বাসভবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র সচিব।
সেখানে আসন্ন গণভোট ঠেকাতে বিএনপির আন্দোলন দমন–সংক্রান্ত কৌশল নির্ধারণ করা হয়।
সিদ্ধান্ত হয়, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’–এর ধাঁচে একটি যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করা হবে, যা মূলত বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর কেন্দ্রিত হবে।
৫ আগস্টের পর গ্রেফতার অভিযান শুরু;
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ইউনুস প্রশাসন আগামী ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার অভিযান শুরু করতে পারে।
এর মাধ্যমে বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় ও কোণঠাসা করে গণভোট থেকে দূরে রাখা হবে।
এ ছাড়া জেলা পর্যায়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ইতোমধ্যে টার্গেট লিস্ট প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাঠ পর্যায়ে নতুন দায়িত্বে আইএসআই–ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা;
অভিযান বাস্তবায়নের জন্য সম্প্রতি সেনাবাহিনীর জামাতি উইংয়ের প্রভাবশালী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদেকুজ্জামানকে প্রমোশন দেওয়া হয়েছে।
তিনি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই–লিংকড কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। যৌথবাহিনীর সেনা সমন্বয় ও মাঠ পর্যায়ের দায়িত্ব তার ওপর অর্পিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর ফলে প্রশাসনে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাব আরও গভীর হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকদের মত।
অভিযানের প্রাথমিক ইঙ্গিত: মিলনকে ফেরত পাঠানো ও অস্ত্র উদ্ধার;
এই পরিকল্পনার বাস্তব রূপ ইতোমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি বিএনপির সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির এক নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনাগুলোই অপারেশন ক্লিন হার্ট–টু–এর প্রাথমিক প্রস্তুতির অংশ।
বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সক্রিয় ভূমিকা;
একাধিক সূত্র দাবি করছে, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন ও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ ও আইএসআই) এই অভিযানের কৌশলগত সহায়তা দিচ্ছে।
ইউনুস প্রশাসনকে টিকিয়ে রাখার পেছনে আন্তর্জাতিক স্বার্থ ও তৃতীয়পক্ষীয় রাজনৈতিক লবির প্রভাব রয়েছে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
গণতন্ত্রবিরোধী অপারেশনের আশঙ্কা;
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট–টু’ মূলত একটি গণতন্ত্রবিরোধী অভিযানের ছদ্মবেশ, যার লক্ষ্য বিরোধী কণ্ঠরোধ ও নাগরিক সমাজকে দমন করা।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো আশঙ্কা করছে, এর মাধ্যমে দেশে আবারও বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও নির্যাতনের ঘটনা বাড়তে পারে।
এটি কেবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, বরং গণতন্ত্রের মূল কাঠামোর ওপর সরাসরি আঘাত।
সব মিলিয়ে, প্রশাসনের পরিকল্পনা ও সামরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে আসন্ন মাসগুলোতে দেশ নতুন এক রাজনৈতিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে।
অভিযানটি বাস্তবায়িত হলে, এটি হতে পারে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক দমন অভিযান, যার প্রভাব পড়বে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের ওপর দীর্ঘমেয়াদে।
