 
                  সাবেক সাংবাদিক তারিক চয়নকে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক। অভিযোগ, তিনি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর ঘনিষ্ঠ ও সক্রিয় চর।
ঢাকা, ২৮ মে ২০২৫ (বুধবার):
সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কলকাতায় উপ-হাইকমিশনার হিসেবে তারিক চয়ন নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তারিক চয়ন পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর ঘনিষ্ঠ এবং অতীতে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে ছিলেন।

🔍 তার পরিচয় কী?
তারিক চয়ন আগে সাংবাদিকতা পেশায় ছিলেন বলে জানা যায়, এবং মানবজমিন পত্রিকায় মাল্টা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।
কিন্তু সাম্প্রতিককালে তার ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনে ঘন ঘন গমন এবং নিরাপত্তা সংস্থার নজরে থাকা কয়েকজন আইএসআই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
📌 কলকাতায় নিয়োগ ও চুক্তিভিত্তিক উপস্থিতি:
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে গিয়েছেন। এই ধরনের নিয়োগ সচরাচর অস্থায়ী ও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যপ্রসূত হয়।
কিন্তু এমন একজন ব্যক্তি যার অতীত সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনেই সতর্কতা ছিল, তাকে এমন কূটনৈতিক পদে নিয়োগ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

❗ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে:
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন মোড়কে পাকিস্তানি চরদের ভারতে পাঠানো হচ্ছে— এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতের গোয়েন্দা বিশ্লেষকরাও। তারিক চয়নের নিয়োগ সেই শঙ্কার বাস্তব রূপ কি না, তা নিয়ে জোরালো তদন্তের দাবি উঠেছে।
একজন অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক বলেন:
“একজন রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করতে গেলে তার অতীত পরিষ্কার ও নিরপেক্ষ হতে হয়। কিন্তু চয়নের নিয়োগ এমন এক সময়ে হয়েছে, যখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ইতোমধ্যেই নানা চাপে রয়েছে।”
বর্তমান প্রেক্ষাপটে, তারিক চয়নের মতো বিতর্কিত অতীত থাকা ব্যক্তির এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ কেবল প্রশ্নবিদ্ধ নয়, বরং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দিকেও আঙুল তোলে। এই বিষয়ে সরকার কী ব্যাখ্যা দেয় বা ভারতের প্রতিক্রিয়া কী হয়—তা এখন দেখার বিষয়।

 
                         
         
         
        