বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা শ্যাম চরন রায়কে নীলফামারীতে মিথ্যা হত্যা মামলায় গ্রেফতার করে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এটি শুধু ব্যক্তির নয়, জাতির মর্যাদার ওপর আঘাত।
নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নে ঘটে গেল স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য এক কলঙ্কময় ঘটনা।
সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যাম চরন রায়– যিনি একাত্তরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলেন—আজ তিনিই হয়েছেন মিথ্যা মামলার শিকার!
সম্প্রতি একটি হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু যেটা আরও বেশি গা শিউরে ওঠার মতো, তা হলো—মামলা দায়েরকারী ব্যক্তি স্থানীয় বাজারে প্রকাশ্যে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন!
এ যেন শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার অপমান নয়, বরং পুরো জাতির আত্মমর্যাদার উপর এক চরম আঘাত।
🔍 কী ঘটেছে?
- মামলার সত্যতা বা তদন্ত শেষ না হতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
- বাজারে জনসমক্ষে তাঁকে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হতে হয়।
- মুক্তিযুদ্ধের একজন সৈনিককে এমন অপমান সরকারের ব্যর্থতা, সমাজের বিবেকের মৃত্যু।
📣 জনমত:
বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলছে –
“এই রাষ্ট্রে যদি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার এমন পরিণতি হয়, তাহলে স্বাধীনতা শব্দটি কাকে বোঝায়?”
আজ শ্যাম চরন রায় লাঞ্ছিত হলেন, কাল হয়তো আরও কেউ হবেন। সময় এসেছে, জাতি হিসেবে আমাদের প্রশ্ন তোলার –
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের মাথায়ও কি আমরা সত্যিকারের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি?
