
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ইসরায়েলের ইরানে হামলা আবারও প্রশ্ন তুলেছে তাঁর সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে। বিশ্লেষণে মার্কো কার্নেলস ব্যাখ্যা করেছেন ট্রাম্পের হঠকারিতা, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির আশঙ্কা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও প্রমাণ করেছেন যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যেমন একটি বিভ্রান্তিকর ব্যক্তিত্ব, বিশ্ব রাজনীতির জন্যও ততটাই অস্থিতিশীল। গতকাল রাতে ইরানে ইসরায়েলের হামলার জন্য তাঁর দেওয়া সবুজ সংকেত গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দিল।
🎯 বিশ্লেষণ: খেয়ালি ট্রাম্পের নীতি ও প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্প নিজেকে ‘শান্তির প্রতিনিধি’ বললেও তাঁর সরকার প্রতিরক্ষা খাতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজেট বরাদ্দ করেছে। পররাষ্ট্রনীতিতে তিনি কখনো বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ২৪ ঘণ্টায় থামাতে পারবেন, আবার পরক্ষণেই সে বিষয়ে অস্বীকৃতি দেন। এই দোদুল্যমানতা শুধু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নয়, অর্থনীতিতেও নৈরাজ্য ডেকে আনছে।
তাঁর দ্বারা ইউএসএআইডি বন্ধ হওয়ায় সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এই অর্থ সাশ্রয় সামরিক বাজেটের তুলনায় তুচ্ছ। তিনি বড় করপোরেট লবির পক্ষে কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, যা সমাজের গরিব মানুষকে আরও কোণঠাসা করছে।
⚔️ ইরান প্রসঙ্গে তাঁর ‘উদ্দেশ্য’ বিপজ্জনক
ট্রাম্পের একমাত্র লক্ষ্য হয়তো ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা ভেস্তে দিয়ে, তেহরানকে চাপে রাখা। কিন্তু ইতিহাস বলছে—ইরান কখনোই তাদের সার্বভৌম অধিকারের প্রশ্নে পিছু হটেনি। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা অনুমোদন করে ট্রাম্প শুধু আলোচনা বাতিলই করাননি, বরং গোটা অঞ্চলকে সংঘাতের মুখে ঠেলে দিয়েছেন।
📉 যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদাহানির আশঙ্কা
ট্রাম্পের নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কাঠামো নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। কর্পোরেট কর হ্রাস করে তিনি সমাজকল্যাণ বাজেট কমিয়েছেন, ফলে ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত ঋণ তৈরি হয়েছে। রেটিং এজেন্সিগুলো মার্কিন ক্রেডিট রেটিং কমিয়ে দিচ্ছে, আর ট্রেজারি বন্ডে আগ্রহও কমছে।
