আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলাসহ ১৫টি মোকাদ্দমার সাইদুর রহমান সুজন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন—এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন।
১৫ জুন ২০২৫, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউপি-এর সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান সুজন (৪৫) নিজেই গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সূর্যমুখী ভবনের সাধারণ কক্ষে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে কারা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়; এরপর ঢামেক হাসপাতালে হস্তান্তরের পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
🕵️♂️ ঘটনা বিবরণ:
প্রকাশ্য সময় ও স্থান: ১৫ জুন, সকাল ১১টা, সূর্যমুখী ভবন, ঢাকা কারাগার।
কারা চিকিৎসক ও পুলিশ ডিসপ্যাচ: ১২:৩০pm, ঢামেকে মৃত ঘোষণা।
কারা মহাপরিদর্শক’s বক্তব্য: ‘তিন বন্দি ছিলেন, একজন আদালতে গিয়েছিলেন, অপরজন ঘুমিয়ে ছিলেন; একমাত্র সুযোগ ছিল নিজের গামছাঘেঁটে আত্মহত্যা করার’।
⚖️ মামলা ও পুরনো বিতর্ক:
সুজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলাসহ মোট ১৫টি মামলা দায় আছে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর আত্মগোপনে চলে যান; পুলিশ তাঁকে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
❓ আত্মহত্যা নাকি ‘রহস্যময় মৃত্যু’:
একজন ‘হাই-প্রোফাইল’ রাজবন্দি সাধারণ কক্ষে রাখায় প্রশ্ন;
আওয়ামীলীগের একজন নেতার গলায় গামছা নিয়ে সেলফ-অ্যানয়োজাকের সুযোগ সৃষ্টি—তাত্ত্বিক এবং নিরাপত্তাসংশয় উভয়ই তৈরি করেছে;
কি কি তথ্য বা তথাকথিত ভিডিও শনাক্ত হওয়ার পর সাজানো ঘটনা হিসেবে এটিকে মার্ক করা যেতে পারে—এমন সন্দেহের মৌখিক ইঙ্গিত রয়েছে।
যদি তিনি গামছা ব্যবহার করে মৃত্যুর পরিকল্পনা করছিলেন, তার মেমো বা নোট কোথায়?
3. তথ্যহীনতা
কি তথ্য ফাঁস হওয়া বা কোনো ক্ষতি উচ্চ পদ থেকে ঘটে গেলে তাকে ‘ন্যকটার’ হিসেবে দমন করা হলো?
সাইদুর রহমান সুজনের মৃত্যু কেবল এক রাজনৈতিক হত্যা নয়—এটি ঊর্ধ্বমুখী সন্দেহ, স্বেচ্ছাচারিতার দিনগুলো পুনঃউদ্বোধন, এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ ও পথশূন্যতা নিয়ে বড় প্রশ্ন নিয়ে এসেছে। এর সত্যতা খুঁজে পেতে হবে তদন্ত ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে।