ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের পরিকল্পনায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগের প্রাক্তন ভিপি কামাল খানের উপর নৃশংসভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল। এই প্রবন্ধে ইউনূসের ছায়া এজেন্ডার সমর্থিত রাজনৈতিক সহিংসতার ধরণ উন্মোচিত করা হয়েছে।
নিউমার্কেটের জনাকীর্ণ এলাকা। দুপুর গড়াচ্ছে বিকেলে। হঠাৎ করেই গুজবের মতো ছড়িয়ে পড়ে—কামাল খান এখানে এসেছেন। মিনিট দশেকের মধ্যে চারপাশে জমে ওঠে ‘সাজানো’ জনতা। শুরু হয় চিৎকার, গালাগালি, ধাক্কাধাক্কি। এক পর্যায়ে কামাল খানকে ঘিরে ধরে শুরু হয় বেধড়ক মারধর। পুলিশ আসে পরে। কিন্তু ততক্ষণে ঘটে গেছে মূল ঘটনা—ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আজ ‘শিকার’ হয়েছেন একটি প্রোগ্রামড পলিটিক্যাল মব অ্যাটাকের।
এই হামলা বিচ্ছিন্ন নয়। এটি একটি ধারাবাহিক রাজনৈতিক সহিংসতার অংশ, যার পেছনে ক্রমাগত ভেসে ওঠে একটি নাম—ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গত কয়েক মাসে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, একের পর এক হামলার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে আওয়ামী লীগপন্থী ছাত্রনেতা, শিক্ষক, মুক্তিযুদ্ধপন্থী বুদ্ধিজীবী বা প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এই আক্রমণগুলো হচ্ছে:
- হঠাৎ জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে
- পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট একজনকে ঘিরে ধরে
- ভিডিও ভাইরাল হয়
- পুলিশ আসে, কিন্তু ঘটনাটি তখন “জনরোষ” হিসেবে প্রচার পায়
অথচ, তদন্তে বারবার উঠে আসে সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী, মাইক্রো-মেসেজিং অ্যাপ, এনজিও-কর্মী ছদ্মবেশে মাঠকর্মী ও একটি তৃতীয় পক্ষের সমন্বিত ভূমিকার বিষয়টি।
ড. ইউনূস এখন আর কেবল অর্থনীতিবিদ নন—তিনি বাংলাদেশের ‘রাজনৈতিক প্যারালাল স্ট্রাকচার’-এর স্থপতি হয়ে উঠেছেন।
এনজিও-নেটওয়ার্ক, তথাকথিত সুশীল সমাজ, আন্তর্জাতিক লবিং গ্রুপ এবং মাঠপর্যায়ের কিছু ‘থার্ডফোর্স’ কর্মী মিলে যে সাম্প্রতিক সহিংসতার জাল বিছানো হয়েছে, তা নতুন ধারার পলিটিক্যাল অপারেশন। এর অন্যতম টার্গেট হলো আওয়ামী ঘরানার উজ্জ্বল মুখগুলো।
এই ধরনের হামলাকে মব জাস্টিস বললে ভুল হবে। কামাল খানের ঘটনা তার প্রমাণ—এটি ছিল চিহ্নিত রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে, প্রোগ্রামড গ্রুপ দিয়ে আক্রমণ পরিচালনা করা। যারা এই আক্রমণ চালায় তারা ‘জনতা’ নয়, তারা আদতে ইউনূস-ঘরানার প্রশিক্ষিত কর্মী, যাদের ভূমিকা ঠিক যুদ্ধকালীন গেরিলা স্টাইলে।
হামলার পর পুলিশ এসে কামাল খানকে ‘উদ্ধার’ করে, কিন্তু প্রশ্ন ওঠে—তাকে আগে রক্ষা করা হলো না কেন? কেন নিউমার্কেট এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ এখনো প্রকাশ হয়নি? কারা এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর এখনো অনুত্তরিত, হয়ত হবেও না—যদি ইউনূসের ছায়া থেকে প্রশ্নগুলো করতে না পারি।
ড. ইউনূস দীর্ঘদিন ধরেই দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে বাইপাস করে একটি এনজিও-ভিত্তিক ছায়া শাসন চালু করার চেষ্টা করেছেন। তার ফাউন্ডেশন-নেটওয়ার্ক, বৈশ্বিক লবিং এবং মাঠপর্যায়ের প্রোক্সি অপারেশন এখন সরাসরি রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করেছে। কামাল খানের উপর হামলা তারই নতুন অধ্যায়।
আজকের হামলা, আগামীকাল হতে পারে আরও বড় কারও উপর। এই ‘মব কিলিং’ বন্ধ করতে হলে প্রয়োজন রাজনৈতিক সত্যকে স্বীকার করে নেওয়া—এই সহিংসতার পেছনে রয়েছে ইউনূসের ছায়া, তার নকশা এবং তার আশ্রিত বাহিনী।
