ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মিডফোর্ডে নিহত বরগুনার তোফাজ্জল ও সোহাগের খুনিদের বিচার দাবিতে বরগুনাজুড়ে ক্ষোভ। মব কালচারের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
“তোফাজ্জল বিচার পায়নি, সোহাগ কি পাবে?” — প্রশ্ন বরগুনার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে নির্মমভাবে নিহত তোফাজ্জল হোসেন এবং ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে মব সন্ত্রাসে নিহত সোহাগ—এই দুই তরুণের শোক আজ ঢেউ তুলছে বরগুনা জেলাজুড়ে। কারণ, এই দুই তরুণই বরগুনার সন্তান।
তোফাজ্জলের হত্যাকাণ্ডের একাধিক বছর পেরিয়ে গেলেও আজও নেই কোনও বিচার। সোহাগের মৃত্যু আরও নির্মম, যাকে মব কালচারের ভয়াল থাবা গিলে ফেলল দিনের আলোয়।
বরগুনাবাসীর একটাই দাবি:
“তোফাজ্জল ও সোহাগের খুনিদের দ্রুত ট্রাইব্যুনালে বিচার করুন। এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন, যাতে বাংলাদেশে আর কোনো মা-বাবা এভাবে সন্তানের লাশ না ফেরত পায়।”
মব কালচারের পেছনে কারা?
স্থানীয় ও সচেতন মহলের দাবি, এ ধরনের সন্ত্রাসে জড়িত রয়েছে রাজনৈতিক ছত্রছায়ার মব গ্রুপ।
বিশেষভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে বিএনপি, জামায়াত, এবং এনসিপি-র মদদে গঠিত মব গোষ্ঠীর দিকে।
বিশ্লেষকদের মতে, “এটা কেবল হত্যাকাণ্ড নয়, এটা রাষ্ট্রবিরোধী ‘মব সংস্কৃতি’র ফল। রাষ্ট্র যদি এটি রুখতে ব্যর্থ হয়, তবে সামনে আরও ভয়ঙ্কর দিন আসবে।”
