 
                  উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়নের ১২ মিনিটের মধ্যেই মাইলস্টোন কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হয়। ঘটনায় একজন নিহত, আহত ৪ জন। কী কারণে এমন দুর্ঘটনা, বিশ্লেষণ জানুন এই প্রতিবেদনে।
রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ঘনবসতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘেরা এলাকায় আজ দুপুরে ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক বিমান দুর্ঘটনা। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান, উড্ডয়নের মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আছড়ে পড়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে।
উড্ডয়নের সময়: দুপুর ১টা ৬ মিনিট
দুর্ঘটনার সময়: আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিট
স্থান: উত্তরা, মাইলস্টোন কলেজ
পাইলট: স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির (অবস্থার তথ্য অনিশ্চিত)
নিহত: ১ জন (ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক তথ্য)
আহত: ৪ জন (সিএমএইচে হেলিকপ্টারে স্থানান্তর)
এ ধরনের দুর্ঘটনা শুধু একটি মানবিক ট্র্যাজেডি নয়, বরং এটি দেশের সামরিক কাঠামো, নিরাপত্তা মানদণ্ড ও প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।
মাইলস্টোন কলেজের অবস্থান এমন একটি এলাকায়, যেখানে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়াত করে।
ঘনবসতির মাঝে কেন ও কী ধরনের প্রশিক্ষণ উড্ডয়ন করা হয়েছিল—এই প্রশ্নের জবাব এখনই খোঁজার সময়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিমানটি আকাশে কিছু সময় ওড়ে, কিন্তু দ্রুতই সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে।
এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যান্ত্রিক ত্রুটি অথবা উড্ডয়ন-পরবর্তী কারিগরি ব্যর্থতার।
স্কোয়াড্রন লিডার তৌকিরের বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত নয়, তবে একটি হেলিকপ্টার রেসকিউ মিশনে পাঠানো হয়েছে।
প্রশ্ন থেকে যায়—রেসপন্স টাইম যথাযথ ছিল কি?প্রত্যেক সামরিক দুর্ঘটনার তদন্ত হয়, কিন্তু সেসব রিপোর্ট কতটা জনসম্মুখে আসে?
কীভাবে বিমানটি বিধ্বস্ত হলো, তার প্রকৃত কারণ জানা, এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে—এখন সেসবের দিকে জাতির দৃষ্টি।
ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট এবং সেনাবাহিনীর দল দ্রুত পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
দুর্ঘটনাস্থলে মাইলস্টোন কলেজের ক্যান্টিনের ছাদ উল্লেখ করা হয়েছে, যা থেকে বোঝা যায় দুর্ঘটনার ভয়াবহতা কী পর্যায়ে ছিল।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণকক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, “আমরা দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে সংবাদ পেয়েছি।
বর্তমানে ৩টি ইউনিট কাজ করছে এবং আরো দুটি রাস্তায় আছে।”
বিমান দুর্ঘটনার ঘটনাগুলো সামরিক প্রশিক্ষণ নীতিমালায় নতুন করে নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা মনে করিয়ে দেয়।
ভবিষ্যতে যাতে বেসামরিক জীবনের ঝুঁকি না হয়, সেজন্য জনবহুল এলাকার ওপর প্রশিক্ষণ ফ্লাইট বিষয়ে নতুন করে গাইডলাইন প্রয়োজন।
এই দুর্ঘটনা আমাদের আবার মনে করিয়ে দেয়, প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগেও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা কতটা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
একজন নাগরিকের জীবন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দায়বদ্ধতার প্রশ্নে আজকে আমাদের সবাইকে সতর্ক ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে।

 
                         
         
         
        