২৫টি উড়োজাহাজ কেনা ও গম আমদানির নামে হাজার কোটি টাকা লুটপাট চলছে গোপন মার্কিন চুক্তির আড়ালে। এই চুক্তি কাদের স্বার্থে?
অন্তঃসারশূন্য উন্নয়ন আর গোপন বিদেশি চুক্তির নামে আজ দেশজুড়ে চলছে রাষ্ট্রীয় সম্পদের এক ভয়াবহ লুটপাট। যার কেন্দ্রে আছেন ‘ইউনুস গং’—এক অনির্বাচিত, দায়বদ্ধতাহীন ব্যক্তিত্ব, যিনি নিজেকে বাঁচাতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে বন্ধক রাখছেন। সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কিনতে যাচ্ছে। মার্কিন এই কোম্পানির সঙ্গে গোপন চুক্তি করার সিদ্ধান্তে ব্যাপক প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে। এ চুক্তির শর্ত, দরপত্র প্রক্রিয়া বা কেনার যৌক্তিকতা—কোনো কিছুই জনসম্মুখে আনা হয়নি।
বিশ্লেষকদের প্রশ্ন:
দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহনের যে পরিসংখ্যান, তা কি এই পরিমাণ উড়োজাহাজের যৌক্তিকতা তুলে ধরে?
নাকি এর আড়ালে আছে মুষ্টিমেয় কিছু বিদেশি ঠিকাদার ও দেশি কমিশনভোগীদের উৎসব?
যেখানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে এসেছে বিপজ্জনক পর্যায়ে, সেখানে এমন বিলাসী কেনাকাটা চরম আত্মঘাতী।
একই ধরনের লুটপাটের নমুনা পাওয়া যাচ্ছে গম আমদানির ক্ষেত্রেও।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে দামে গম আমদানি করা হচ্ছে, তা স্থানীয় বাজারদরের তুলনায় প্রতি কেজিতে প্রায় ৫ টাকা বেশি।
এতেই বোঝা যায়, গম কেনা হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তার কারণে নয় বরং বিদেশি স্বার্থ পূরণ ও মধ্যস্বত্বভোগীদের চাহিদা মেটাতে।
এই চুক্তি জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, কারণ অতিরিক্ত দামে আমদানির বোঝা পড়ে যাচ্ছে সরাসরি জনগণের কাঁধে।
উড়োজাহাজ হোক বা গম—সবকিছুই কেনা হচ্ছে জনগণের করের টাকায়। অথচ সংসদে নেই কোনো প্রশ্ন, নেই গণশুনানি, নেই কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দরপত্র।
সব চলছে অন্ধকারে, জনগণকে ধোঁকা দিয়ে। এই ধরনের অস্বচ্ছতা গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতার মূলে কুঠারাঘাত।
জনগণের বার্তা আজ স্পষ্ট:
“গোপন চুক্তি মানি না, দেশ বিক্রি চলবে না!”
এইসব চুক্তি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে, একটি প্রভাবশালী মহল বিদেশি শক্তির স্বার্থরক্ষায় কাজ করছে।
এর নেতৃত্বে থাকা ইউনুস গং দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করছেন।
এর প্রতিদান হিসেবে তারা পাচ্ছেন ক্ষমতার গ্যারান্টি, আর দেশের ভবিষ্যৎ হচ্ছে তিলে তিলে ধ্বংস।
বাংলাদেশ কি আবারও পরাধীনতার নতুন সংস্করণে ঢুকে পড়ছে, যেখানে শাসক থাকবে ঢাকায়, আর সিদ্ধান্ত হবে ওয়াশিংটনে?
এই মুহূর্তে চুপ করে বসে থাকা মানে নিজেদের ভবিষ্যৎকে বিকিয়ে দেওয়ার নামান্তর।
জনগণ বুঝে গেছে, গোপন চুক্তি মানে দুর্নীতি, গোপন চুক্তি মানে আত্মসমর্পণ।
যারা গদি রক্ষায় দেশ বিক্রি করছে, তাদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।
এ দেশ জনগণের, লুটেরা ও দালালদের নয়।
