অবৈধ অন্তর্বর্তী ইউনুস সরকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান থেকে চীনে তৈরি দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কিনেছে দেড়গুণ বেশি দামে। আন্তর্জাতিক বাজারে এশীয় দেশ থেকে কিনলে খরচ হতো অনেক কম। এনডিএ চুক্তির মাধ্যমে দেশ কি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে?
অবৈধ অন্তর্বর্তী সরকার আবারও প্রমাণ করলো—দেশ বিক্রির নীল নকশাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি থেকে প্রায় ৯৭৬ কোটি টাকায় দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কেনার অনুমোদন দিয়েছে এই সরকার। অথচ আন্তর্জাতিক বাজার তথ্য বলছে, একই জাহাজ সরাসরি চীন, দক্ষিণ কোরিয়া বা জাপান থেকে কেনা হলে দাম পড়তো ৬০০-৬২০ কোটি টাকার মধ্যে।
অর্থাৎ, জনগণের করের টাকায় প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করা হলো শুধুমাত্র মার্কিন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষার জন্য।
আরও বিস্ময়ের বিষয়, জাহাজ দুটি তৈরি হচ্ছে চীনের শিপইয়ার্ডেই—যেখান থেকে সরাসরি কিনলেই কম খরচে পাওয়া যেত।
আন্তর্জাতিক শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রির মার্চ ২০২৫-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী-
বিশ্বের ৯৪.৫৩ শতাংশ জাহাজ তৈরি হয় এশিয়ার পাঁচটি দেশে—চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম।
যুক্তরাষ্ট্র এই তালিকার প্রথম দশেও নেই। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, কেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানকে এত বিশাল অঙ্কের কমিশন খাওয়ানো হলো?
অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি কেবল শুরু।
ইউনুস সরকারের স্বাক্ষরিত এনডিএ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ভবিষ্যতে সামরিক অস্ত্র, কৃষিজ পণ্য, জ্বালানি, পোশাক শিল্পের কাঁচামাল এবং মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি—সবকিছুই দুই থেকে তিনগুণ দামে মার্কিন প্রতিষ্ঠান থেকে কিনতে বাধ্য হবে বাংলাদেশ।
এর সরাসরি বোঝা পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর, দ্রব্যমূল্য ও আমদানি খরচ বেড়ে যাবে বহুগুণ।
এভাবে ক্ষমতার নিরাপত্তা আর বিদেশি প্রভুদের খুশি করতে গিয়ে ইউনুস সরকার দেশকে ধাপে ধাপে ঋণ ও নির্ভরশীলতার ফাঁদে ঠেলে দিচ্ছে।
এই জাহাজ ক্রয় কেবল একটি দৃষ্টান্ত—আসলে দেশকে আক্ষরিক অর্থে বিক্রি করে দেয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
