 
                  বাংলাদেশের বাজারে আগুন। ড. ইউনুসের ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে কৃষক ও ভোক্তা উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত। সবজির আকাশছোঁয়া দামে খাদ্য নিরাপত্তা ধ্বংসের পথে দেশ।
বাংলাদেশের বাজার আজ আগুনে পরিণত হয়েছে। এক কেজি গোল বেগুনের দাম দুইশ টাকা, কাঁচা মরিচ দুইশ চল্লিশ টাকা—এ যেন সাধারণ মানুষের জন্য বাজার নয়, বরং খোলা অগ্নিকুণ্ড। প্রতিদিনের ভোগ্যপণ্যের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি কেবল অস্থায়ী কোনো সমস্যার ফল নয়, বরং এটি সরাসরি ড. মোহাম্মদ ইউনুস ও তার অ-সরকারের ব্যর্থ নীতি ও দুর্নীতির ফল।
ইউনুস ক্ষমতায় আসার পর কৃষি ভর্তুকি কার্যত তুলে দেওয়া হয়।
কৃষকদের সার, বীজ, সেচ ও কীটনাশক কেনার খরচ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গেছে।
আগে যেখানে সরকার কৃষকদের উৎপাদন খরচে সহায়তা করত, সেখানে এখন বিদেশি সংস্থাগুলোর হাতে কৃষিনীতি তুলে দেওয়া হয়েছে।
ফলে কৃষক উৎপাদন খরচ সামলাতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
অন্যদিকে পরিবহন ও বাজারজাতকরণ খাতকে দেওয়া হয়েছে সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে।
প্রতিটি সবজি বহনকারী ট্রাক থেকে শুরু করে পাইকারি আড়ত পর্যন্ত চলছে টোল, চাঁদা ও তথাকথিত “সিকিউরিটি ফি”র নামে লুটপাট।
সরকার-সমর্থিত মাফিয়ার এই খেলা শেষ পর্যন্ত ভোক্তার কাঁধেই চাপানো হচ্ছে।
কৃষক ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না, অথচ ক্রেতাকে দিতে হচ্ছে দ্বিগুণের বেশি দাম।
ইউনুস সরকার স্থানীয় উৎপাদনকে ধ্বংস করে আমদানিনির্ভরতা বাড়ানোর নীতি নিয়েছে।
এই নীতিতে উপকৃত হচ্ছে কোটিপতি ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক গোষ্ঠী।
দেশি বাজার ধ্বংসের ফলে সাধারণ মানুষ আজ শাক-সবজি কিনতেও হিমশিম খাচ্ছে।
কৃষক ফসল ফলিয়েও দিশেহারা, আর ভোক্তা কিনতে পারছে না—দুই দিক থেকেই চলছে সর্বনাশ।
আজকের পরিস্থিতি দেখে মনে হয় বাংলাদেশে কৃষক নেই, আছে শুধু সিন্ডিকেট আর মাফিয়া।
ইউনুসের আমলে খাদ্য নিরাপত্তা কার্যত ভেঙে পড়েছে।
নিম্ন আয়ের মানুষ, যারা একবেলা ভাত-ডালে সংসার চালান, তাদের জন্য সবজি এখন স্বপ্ন।
এই ভয়াবহ সংকট কেবল অর্থনৈতিক সমস্যা নয়—এটি সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
কৃষক ও ভোক্তার এই দুঃসহ অবস্থা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নয়, বরং এটি সুপরিকল্পিত নীতিগত ব্যর্থতা ও দুর্নীতির ফল।
ইউনুসীয় নীতির ফাঁদে পড়ে কৃষক যেমন উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারছেন না, তেমনি সাধারণ মানুষও বাজারে গিয়ে হতাশায় ভেঙে পড়ছেন।
বাংলাদেশের খাদ্যনীতি যদি দ্রুত জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে পুনর্গঠন না করা হয়, তবে অদূর ভবিষ্যতে দেশ ভয়াবহ খাদ্যসংকটে পড়তে বাধ্য।

 
                         
         
         
        