রাজধানীর কুড়িলে আনসার ভিডিপির উপপরিচালক কামরুন নাহারের পৈত্রিক চারতলা বাড়ির নিচতলা দখলের অভিযোগ উঠেছে এক কোচিং সেন্টার মালিকের বিরুদ্ধে। আইনি লড়াই চলমান হলেও দখলদার এখনো বাড়ির নিচতলায় অবস্থান করছেন বলে জানানো হয়।
রাজধানীর কুড়িল এলাকার প্রগতি সরণিতে অবস্থিত একটি চারতলা ভবনের নিচতলা জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। আনসার ও ভিডিপির ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপপরিচালক কামরুন নাহারের পৈত্রিক বাড়ির এই অংশটি জাল চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দখল করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্বামী এএসএম নোমান আলম।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার ও তার আইনজীবী খায়রুল আলম। লিখিত বক্তব্যে এএসএম নোমান আলম জানান,
রাজধানীর কুড়িলের প্রগতি সরণীর ৯৬/৩-ক নম্বর বাড়িটি কামরুন নাহার পৈত্রিকসূত্রে পেয়েছেন বাড়ির নিচতলা যা প্রায় ২,৫০০ বর্গফুট আয়তনের।
২০২১ সালের ১ জানুয়ারি ‘রয়েল সিলেকশন’ নামে একটি গাড়ির শো-রুমের জন্য ৫ বছরের জন্য ভাড়া দেওয়া হয় রশিদ আহমেদ জুয়েলের কাছে।
চুক্তির মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি (২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর)। তবে অভিযোগ উঠেছে, ওই ভাড়াটিয়ার অজান্তে এবং
বাড়ির মালিক কামরুন নাহারের স্বাক্ষর জাল করে শাহীন কোচিং সেন্টারের মালিক মো. মাছুদুল আমীন শাহীন ।
একটি ভুয়া ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র তৈরি করেন অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২১ এপ্রিল গভীর রাতে তিনি ও তার
লোকজন তালা ভেঙে বাড়ির বেসমেন্টসহ দুটি ফ্লোর জোরপূর্বক দখলে নেন। পরবর্তীতে এই দখলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয়।
দ্বিতীয় সহকারী জজ আদালতে (মামলা নম্বর ২৮৩/২৩), যেখানে আদালত ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল মামলাটি খারিজ করে দেন।
পরে, মাছুদুল আমীন শাহীন একই আদালতে একটি ভাড়াটিয়া মামলা করেন (মোকদ্দমা নং-১৭/২৩), যা গত ২৬ আগস্ট নামঞ্জুর করা হয়।
এএসএম নোমান আলম বলেন, “আমার স্ত্রী একজন সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে আমাদের অধিকার রক্ষা করতে হচ্ছে।
অথচ রাতের আঁধারে শক্তি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাড়ি দখলের মতো ঘটনা ঘটেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী খায়রুল আলম বলেন, “এটি একটি স্পষ্ট জালিয়াতি ও জবরদখলের ঘটনা।
আদালতের রায়গুলো আমাদের পক্ষে এসেছে, কিন্তু বাস্তবে আমরা এখনো দখল ফিরে পাইনি।”
এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং দখলমুক্ত করার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
