ঢাকা জেলার ডিসি অফিসে জামায়াত ঘনিষ্ঠদের ফাইল দ্রুত নিষ্পত্তি হলেও সাধারণ নাগরিকদের আবেদন পড়ে থাকে মাসের পর মাস। প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ।
ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কেবল একটি সরকারি অফিস নয়—এটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র। প্রতিদিন এখানে হাজারো মানুষ সেবা নিতে আসেন, বিশেষত জমি সংক্রান্ত কাজ, নামজারি, অনাপত্তি সনদ, ট্রেড লাইসেন্স এবং সরকারি অনুমোদনের নথিপত্র নিয়ে। এই অফিসের নিরপেক্ষতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অত্যন্ত জরুরি।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে:
এই অফিসে একটি গোপন পক্ষপাতদুষ্ট নীতি কাজ করছে। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর ঘনিষ্ঠ বা সমর্থকদের ফাইল দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, যেখানে সাধারণ নাগরিকদের ফাইলগুলো দীর্ঘদিন আটকে থাকে।
বিশ্বস্ত সূত্র ও অভিযোগ অনুযায়ী, বর্তমান জেলা প্রশাসক নিজে জামায়াতপন্থী চিন্তাধারায় প্রভাবিত। ফলে, অফিসের ভেতরে একটি ‘অদৃশ্য রাজনৈতিক ফিল্টার’ কাজ করছে—যা শুদ্ধ প্রশাসনিক কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
বিষয়টির ভয়াবহতা কোথায়?
১. রাষ্ট্রবিরোধী পক্ষপাত:
সরকারি কর্মচারীদের পক্ষপাতমূলক আচরণ সংবিধান ও সরকারি আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
- মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রভাব:
জামায়াতের আদর্শকে প্রশাসনের ভেতরে প্রতিষ্ঠিত করার এই প্রবণতা দেশের স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী। - গণসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ:
যেখানে নাগরিকদের সমানাধিকার থাকা উচিত, সেখানে রাজনৈতিক পরিচয় বা গোষ্ঠীভিত্তিক বিভাজন তৈরি হচ্ছে।
দেশপ্রেমিকদের করণীয় কী?
আমরা চাই, প্রশাসন হোক জনমুখী, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ। জামায়াত বা যেকোনো গোষ্ঠীর প্রভাবমুক্ত একটি ডিসি অফিস গড়ে তোলাই হবে গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল রাষ্ট্রের পথচলা।
শেষ কথা
এটি নিছক অফিসিয়াল স্বজনপ্রীতির ইস্যু নয়—এটি একটি আদর্শিক ও রাষ্ট্রিক নিরাপত্তা ইস্যু। দেশের সচেতন নাগরিক, গণমাধ্যম এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়টি নিয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়া।
