 
                  মূল্যস্ফীতি, কর্মহীনতা ও বিনিয়োগ স্থবিরতার মধ্যেই চলছে তথাকথিত ‘ইউনুস সংস্কার’। এই অর্থনৈতিক মডেল কি সত্যিই জনগণের পক্ষে, নাকি কেবল রাজনৈতিক ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার?
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, কর্মসংস্থান কমছে, বিনিয়োগে চরম স্থবিরতা—যদি এটাই হয় সংস্কার, তবে এই পরিকল্পনার আসল উদ্দেশ্য জনগণের নয়, বরং ক্ষমতা আঁকড়ে ধরা!
বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল জায়গায় দাঁড়িয়ে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৯৭ শতাংশে এসে ঠেকেছে—যা ইতিহাসের এক নীচু স্তরে। বেসরকারি বিনিয়োগ ২০১৩-১৪ অর্থবছরের পর সর্বনিম্ন। টানা তিন বছর ধরে ১০ শতাংশের কাছাকাছি মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নস্যাৎ করে দিয়েছে।
এই অবস্থার মধ্যেই ‘সংস্কার’ নামের যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে, তা আসলে কোনো জনবান্ধব উদ্যোগ নয়—বরং একটি বিশেষ চক্রের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার রাজনৈতিক রোডম্যাপ।
🧨 ইউনুস-মডেল: সংস্কার না প্রতারণা?
ইউনুস গংয়ের তথাকথিত সংস্কার মডেল একদিকে বিদেশি আস্থা আনার কথা বলছে, অথচ বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে, ব্যক্তিখাত বিনিয়োগকারীরা দেশছাড়া, ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে না, বিদেশি বিনিয়োগ সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
📉 অর্থনীতিতে ভয়াবহ অস্থিরতা:
বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে:
- গত এক বছরে কাজ হারিয়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।
- ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়েছে।
- উচ্চ ও নিম্ন দক্ষতার শ্রমিকদের প্রকৃত আয় কমেছে।
- বিনিয়োগ না থাকায় নতুন শিল্প বা চাকরির বাজার গড়ে উঠছে না।
🎯 তাহলে কার জন্য এই সংস্কার?
যে সংস্কার জনগণের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার কথা, তা এখন পরিণত হয়েছে—
- রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ধ্বংসে,
- বিনিয়োগ পরিবেশের অবনতিতে,
- আর দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পথে।
সরকার নিজেই এবার বিনিয়োগ কমিয়েছে। সাধারণ মানুষ ব্যাংকে আমানত রাখার পরিবর্তে সঞ্চয় ভাঙাচ্ছে, জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।
⚠️ রাজনৈতিক কৌশলেই ধ্বংস অর্থনীতি?
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিচারহীনতা, প্রশাসনিক নিপীড়ন—সব মিলিয়ে আজ বাংলাদেশে যা চলছে, তা “সংস্কার” নয়, বরং একটি বিকৃত পদ্ধতিতে ক্ষমতা ধরে রাখার প্রচেষ্টা।
📌 এই প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট হয়—বর্তমান “সংস্কার” পরিকল্পনা জনস্বার্থে নয়, বরং রাজনীতিক স্বার্থে নির্মিত এক বিপজ্জনক ধোঁকাবাজি।

 
                         
         
         
        