বসুন্ধরা আবাসিকে এনসিপি নেতা ইমামুর রশিদ ইমন এক নারী উদ্যোক্তার কাছ থেকে প্রজেক্টে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৪৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
_মুক্তিবার্তা৭১
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমামুর রশিদ ইমনের বিরুদ্ধে প্রজেক্টের কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে এক নারী উদ্যোক্তার কাছ থেকে ৪৮ লক্ষ টাকার বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান নামের একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ১৪ মে ২০২৫, রাত ৯টা ২১ মিনিটে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইমামুর রশিদ ইমন একজন নারীর কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নগদ গ্রহণ করছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মোট ১০ লক্ষ টাকার চুক্তির মধ্যে এই টাকা ছিল প্রথম কিস্তি।
ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, “আমি ভেবেছিলাম, কিছু প্রজেক্ট কাজ পাবো।
এর আগেও নানা সময় এনসিপিকে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা দিয়েছি।
কিন্তু কোনো কাজই পাইনি। এখন বুঝতে পারছি, এসব ছিল পরিকল্পিত প্রতারণা।”
ভিডিওটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
অনেকেই একে সরাসরি “রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দুর্নীতির নতুন নমুনা” বলে মন্তব্য করেছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
অভিযুক্ত ইমামুর রশিদ ইমনও গণমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যখন একটি রাজনৈতিক দল নিজেদের “সংস্কারকামী” ও “দুর্নীতিবিরোধী” বলে দাবি করে, তখন এরকম চাঁদাবাজি মূলক কর্মকাণ্ড জনগণের আস্থাকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এখন দেখার বিষয়—এই ঘটনা তদন্ত হবে কি না, আর এই নারী উদ্যোক্তা তাঁর হারানো অর্থ ফিরে পাবেন কিনা।
