 
                  ঢাকার রাজপথে “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ার অপরাধে মানুষ হত্যা করে জিয়ার মাজারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বিএনপি -জামায়াতের এই বর্বরতা শুধু রাজনৈতিক সহিংসতা নয়, জাতির অস্তিত্বের ওপর আঘাত।
রাজধানী ঢাকায় সাম্প্রতিক ঘটনায় প্রমাণ হয়েছে, “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ার অপরাধেই মানুষকে ছুরি মেরে হত্যা করে জিয়ার মাজারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এটি নিছক একটি হত্যাকাণ্ড নয়—বরং জাতির অস্তিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি চ্যালেঞ্জ। রাজনৈতিক বিরোধিতার নামে এমন বর্বরতা কেবল গণতন্ত্রকেই নয়, রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
বিএনপি ভুলে গেছে যে তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় নেই, এমনকি ক্ষমতায় ফেরার কোনো নিশ্চয়তাও নেই।
অথচ ক্ষমতার বাইরে থেকেও যদি তারা এভাবে রক্ত ঝরাতে দ্বিধা না করে, তবে ক্ষমতায় গেলে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত দেশ।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে নৃশংসতা চালিয়েছিল, আজ বিএনপি-জামায়াত সেই একই কায়দায় সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে।
তাদের রাজনীতির মূল ভিত্তি এখন পরিণত হয়েছে সন্ত্রাস, খুনোখুনি ও আতঙ্ক সৃষ্টির সংস্কৃতিতে।
তবে ইতিহাস সাক্ষী, যারা জনগণের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছে, তাদের টিকে থাকতে দেয়নি এই দেশের মাটি ও মানুষ।
জনগণের ভালোবাসা ছাড়া কোনো রাজনৈতিক শক্তি দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকতে পারে না। বিএনপি নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে।
সময়ের বিচারে পালানোর পথ নেই
বাংলাদেশের মানুষ বারবার প্রমাণ করেছে—সন্ত্রাস দিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দমন করা যায় না। বরং রক্তের ভেতর দিয়েই জন্ম নেয় নতুন শক্তি।
আজ যারা ছুরি হাতে নিরীহ মানুষ ঝুলিয়ে রাখছে, আগামীকাল সেই একই ইতিহাস তাদেরকেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।
সময়ের চাকা কারও জন্য থেমে থাকে না।
বিএনপি যদি এখনই এই হিংস্র রাজনীতি থেকে সরে না আসে, তবে তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে নাম-নিশান মুছে ফেলবে নিজেরাই।
কারণ, এই দেশ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির, এই দেশ মানুষের রক্তের দামে কেনা স্বাধীনতার।

 
                         
         
         
        