
লন্ডনে ড. ইউনুস ও তারেক রহমানের বৈঠকে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস, শেখ হাসিনাকে নির্বাচন থেকে সরানো এবং সেনাবাহিনীর ভেতরে ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার নীলনকশা তৈরি হয়েছে বলে ধারণা।
কলাম লেখকঃ জী ইসলাম
বাংলাদেশ এক ভয়ংকর মোড় নিচ্ছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং গণতন্ত্র আজ প্রশ্নবিদ্ধ। এ অবস্থায় লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও তারেক রহমানের গোপন বৈঠক ঘিরে চাঞ্চল্য ও উদ্বেগ বেড়েছে বহুগুণে। বৈঠকটি আদতে কোনও সৌজন্যমূলক বা কূটনৈতিক পর্যায়ের সাক্ষাৎ নয়, বরং এটি একটি চূড়ান্ত ষড়যন্ত্রের ব্লুপ্রিন্ট।
❗ চক্রান্তের উদ্দেশ্য কী?
✅ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা
✅ শেখ হাসিনাসহ ২০০ জন সিনিয়র নেতাকে সাজা দিয়ে নির্বাচনের বাইরে রাখা
✅ নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে ‘আবশ্যিক নেতৃত্বহীনতা’ তৈরি
✅ মৌলবাদী ও বিদেশি প্রভাবিত গোষ্ঠীকে ক্ষমতায় বসানো
এইসব কার্যক্রম চালানোর জন্য ড. ইউনুস, তারেক রহমান, জামায়াত ও এনসিপি ইতোমধ্যেই গোপন ঐক্যে পৌঁছেছে। নির্বাচন-পরবর্তী একদলীয় শাসনব্যবস্থার জন্য ধাপে ধাপে মাঠ প্রস্তুত করা হচ্ছে।
⚠ ষড়যন্ত্রের ছক কেমন?
🔻 সেনাবাহিনীর ভেতরের সুবিধাভোগী একটি চক্র
🔻 বিদেশি সংস্থা ও এনজিও নেটওয়ার্ক
🔻 প্রবাসী লবি এবং মিডিয়াভিত্তিক প্রচারযন্ত্র
🔻 বিচারব্যবস্থার ওপর অদৃশ্য প্রভাব
এই নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে আগামী ২০২৫ সালের নির্বাচন বাতিল করে ২০২৭ সাল পর্যন্ত অস্বাভাবিক ক্ষমতা ধরে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটি ‘ছদ্ম নির্বাচিত’ সরকার কায়েম করাই এখন এই শক্তির প্রধান লক্ষ্য।
🧩 ভয়ঙ্কর ফলাফল হতে পারে কী?
- বাংলাদেশে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে
- সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি করা হবে জনগণের
- মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদ পুনরায় মাথাচাড়া দেবে
- আন্তর্জাতিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে
এই গোপন বৈঠক এবং তার প্রভাব এখন আর গুজবের মধ্যে নেই। দৃশ্যপট স্পষ্ট—গণতন্ত্রের আড়ালে চলছে ফ্যাসিবাদের প্রস্তুতি। দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে এখনই সতর্ক হতে হবে।
নইলে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি অন্ধকার অধ্যায় রচিত হতে যাচ্ছে—যার শিকারে হবে দেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
📌 বিশ্লেষণ, প্রতিবেদন ও অনুসন্ধানের জন্য নিয়মিত পড়ুন আমাদের পোর্টাল।

 
                         
         
         
        