সেনাবাহিনীর স্টাফ কর্নেল মোঃ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোন অফিসিয়াল নির্দেশনা পাননি; নির্দেশনা পেলে দায়িত্ব পালন করবে
১. নির্দেশনার অনিশ্চয়তা
সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেট (MOD)‑এর কর্নেল মোঃ শফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে দেয়া সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সরকার থেকে এখনও কোন সরকারি নির্দেশনা সেনাবাহিনী পায়নি। তবে যে কোনো আদেশ পেলে যথাযথভাবে নির্বাচন‑সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা হবে।
২. আইনশৃঙ্খলা ও ঈদ নিরাপত্তা
তিনি দুঃখজনক জনদূর্ভোগ, ভাঙচুর ও মোব ভায়োলেন্স সহ সার্বিক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ভুমিকা তুলে ধরেন:
মোব ভায়োলেন্স মোকাবিলায় সেনাবাহিনী সময়মতো রংপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যুক্ত হয়েছিল।
ঈদুল আজহা চলাকালে গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াত কেন্দ্র—বাস, লঞ্চ, রেলস্টেশন—সহ রাস্তায় টহল ও চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল।
গাড়ি থেকে যাত্রীদের ফেরত দেওয়া ও হতাহতের সংখ্যা ৩০–৪০ % হ্রাস একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন।
৩. সরকারের প্রতি সেনাবাহিনীর প্রবল সংযম
কলাজে মোব ভায়োলেন্স ও জনদূর্ভোগের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেয়া হয়েছে এমনটা জানান কর্নেল শফিকুল। পাশাপাশি, সীমান্তবর্তী push-in পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী এখনও BGB এবং কোস্ট গার্ডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখছে।
৪. সুশাসন ও সেনা–সরকার সমন্বয়
সেনাবাহিনী ও সরকার “একসাথে কাজ করছে, দ্বন্দ্ব নেই” ‒ এই নিয়োগ ও ভূমিকা নিয়েও আগেই সরকারি ও সামরিক উভয় পক্ষ থেকে একই ধরনের বিবৃতি পাওয়া গেছে। কর্নেল শফিকুল এই সমন্বয়কেই তুলে ধরেন।
বিষয়
সারাংশ
নির্দেশনা
সরকারের তরফে জাতীয় নির্বাচনের জন্য এখনও কোনও অফিসিয়াল নির্দেশনা পাওয়া যায়নি
নিরাপত্তা ভূমিকা
মোব ভায়োলেন্স ও ঈদ‑পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী
নীরব আন্তঃসন্তুষ্টি
সরকার-মিলিটারীর মধ্যে সমন্বয় দৃঢ়; কিছু ভীতি বা দ্বন্দ্ব নেই
ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি
নির্বাচন নিয়ে নির্দেশনা এলে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালনের প্রতিশ্রুতি
সেনাবাহিনীর বক্তব্য স্পষ্ট—ভোটের মঞ্চে সাড়া দেওয়ার বাস্তব প্রস্তুতি নিয়ে রয়েছে তবে সরকারের লিখিত নির্দেশ না আসা সম্পূর্ণ পরিস্থিতি অনিশ্চয়তার ঘেরায় রেখেছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রক্রিয়ায় যাঁরা দায়িত্ব পালন করবেন, তারা রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা ও আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেন, তা নির্দিষ্টভাবে তখনই জানা যাবে যখন সরকারি অনুমোদন মুকদ্দমায় পরিণত হবে।