জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম পুনর্বহাল আন্দোলন শুধু একটি নামফলক ফেরানোর দাবি নয়; এটি মোহাম্মদ ইউনুসের অবৈধ শাসনের বিরুদ্ধে জাতির প্রথম গণ-ঘোষণা। এটাই কি নতুন গণ-অভ্যুত্থানের সূচনা?
ঢাকা, ২১ জুন ২০২৫ —
আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের দাবিতে শুরু হওয়া ছাত্র ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের আন্দোলন গোটা জাতির মধ্যে নতুন করে বিক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে দিয়েছে। এটি শুধু একটি হলের নাম পুনরুদ্ধারের লড়াই নয়, এটি মুজিব আদর্শে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনার সংগ্রামের সূচনা।
মোহাম্মদ ইউনুস ও তার সাময়িক সরকারের জন্য এদিন এক ঐতিহাসিক অশনি সংকেত। ভুঁইফোঁড় এই “নিরপেক্ষ” ক্ষমতালোভী ও তার বিদেশপরায়ণ চক্র যেভাবে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলে ইতিহাসকে বিকৃত করতে চেয়েছে, জাহাঙ্গীরনগরের প্রতিবাদ তা রুখে দিয়েছে প্রত্যয়ভরে।
❝এটি আর কোনো সাধারণ স্মারকলিপি নয়❞
সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, “স্বৈরাচারী মনোবৃত্তির” বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া আজ সময়ের দাবি। ছাত্র সমাজ বুঝে গেছে—এই নামে পরিবর্তন ছিল একটি পরিকল্পিত ইতিহাসবিকৃতি।
প্রতিবাদের ভাষা ছিল তীব্র, বার্তা ছিল স্পষ্ট:
“আমরা ভুলিনি, আমরা ভুলবো না। মুজিবকে মুছে ফেলা যাবে না। বাংলাদেশ বিক্রি হতে দেওয়া যাবে না।”
ইতিহাস আবারও নিজের জায়গায় দাঁড়িয়েছে
মনে রাখতে হবে, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ শুধু পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়, ছিল জাতিকে নিঃস্ব করে দাস বানানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে লড়াই।
আজ সেই চক্রান্তকারীরা নতুন মুখ, নতুন চেহারায় ফিরে এসেছে ইউনুসের ছায়ায়। এই আন্দোলন তাই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি সেই দাবানলের সূচনা, যা তাসের ঘর গুঁড়িয়ে দেবে।
ইউনুসের কফিনে প্রথম পেরেক
ইতিহাস স্বৈরাচারদের ক্ষমা করে না। ইউনুস সরকার মোশতাক, জিয়া, এরশাদ বা তারেক রহমানদের মতোই একই ইতিহাসের ডাস্টবিনে ঠাঁই পাবে।
জাহাঙ্গীরনগর আজ স্পষ্ট বলছে—ফাঁসির মঞ্চের দিকে এগিয়ে চলো, কারণ আমরা জানি কারা ইতিহাসের দালাল।
- জাহাঙ্গীরনগরে বঙ্গবন্ধুর নাম পুনর্বহালের দাবিতে গণআন্দোলন।
- সাংস্কৃতিক জোটের স্মারকলিপি ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম ফাটল।
- ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে নতুন প্রজন্মের দাঁতভাঙা জবাব।
- ইউনুস সরকারের অবৈধ ক্ষমতার অবসান দাবির সূচনা।
