ইউনুস ও আশিক চৌধুরীর তথাকথিত বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি বাস্তবে পরিণত হয়েছে ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে। বিদেশি বিনিয়োগের বদলে দেশ ছেড়ে যাচ্ছে ব্র্যান্ড শপগুলো, বন্ধ হচ্ছে কারখানা, বেড়ে যাচ্ছে বেকারত্ব ও খেলাপি ঋণ।

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে “বিনিয়োগের ম্যাজিক” দেখানো হয়েছিল, তা এখন এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের হাতের পুতুল আশিক চৌধুরীর ঝলমলে প্রেজেন্টেশন আর মিডিয়া শো আজ পরিণত হয়েছে ভয়াবহ প্রতারণায়। বিদেশি বিনিয়োগ আসার বদলে দেশ থেকে উল্টো আস্থা ও পুঁজি দুটোই পালিয়ে যাচ্ছে।
আশিক চৌধুরীর উপস্থাপনায় কোটি কোটি ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো—বাটা, কোকাকোলা, কেএফসি—একটার পর একটা হামলা ও অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিদেশি বিনিয়োগ তো আসেইনি, বরং বিদ্যমান শিল্প খাত থেকে আস্থা হারাচ্ছে বিদেশি উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তহীনতা, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট, ঋণের উচ্চসুদ এবং শ্রমিক অসন্তোষ মিলিয়ে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মাত্র এক বছরে ৫ শতাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
এর ফলে এক লাখেরও বেশি শ্রমিক রাস্তায় নেমে পড়েছে।
পরিবারগুলো দারিদ্র্য, অনাহার ও হতাশায় ভুগছে।
খেলাপি ঋণ আজ বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় বোঝা।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকায়।
অর্থাৎ ব্যাংকের দেওয়া প্রতি চার টাকার মধ্যে এক টাকারও বেশি ফেরত আসছে না।
এই অস্বাভাবিক ঋণ সংকট শিল্প খাতকে আরো পঙ্গু করে তুলছে।
ইউনুস এখন কেবল একজন ব্যর্থ প্রশাসক নন, বরং তিনি হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এক ভয়ঙ্কর প্রতারণার প্রতীক।
তার নেতৃত্বাধীন বিনিয়োগ মডেল দেশকে নিয়ে যাচ্ছে দেউলিয়া হওয়ার দিকে।
এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশের শিল্প ও ব্যাংক খাত আর শ্রমিক শ্রেণির ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকার হয়ে উঠবে।

 
                         
         
         
         
         
         
        