বাংলাদেশে ১০০ জন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংসদ সদস্যকে মিথ্যা অভিযোগে কারাগারে প্রেরণ একটি গভীর রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বহন করে। গণতন্ত্র, সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
কলাম লেখকঃ জি ইসলাম
বর্তমান বাংলাদেশ এক ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। গণতন্ত্রের স্বাভাবিক ধারা আজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত, এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গভীরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ঘটে যাওয়া অঘোষিত রাজনৈতিক অভ্যুত্থান তার সরাসরি প্রমাণ।
এই প্রেক্ষাপটে দেশের ১০০ জনেরও বেশি সংসদ সদস্য, যাঁদের অধিকাংশই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এবং নির্বাচিত প্রতিনিধি, মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে কারাবন্দি রয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন এমন অনেকে, যাঁরা শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে বছরের পর বছর জনগণের সেবা করেছেন।
⚖️ বিচারবহির্ভূত কারাবরণ
বিচার না করে, তদন্ত ছাড়াই এই জনপ্রতিনিধিদের আটক করে অবৈধ সরকার একটি সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি করেছে। একদিকে তারা নিজেদের অবৈধ শাসন টিকিয়ে রাখতে মরিয়া, অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন ও গণতন্ত্রের ভিত্তিকে ধ্বংস করছে পরিকল্পিতভাবে।
🏗️ উন্নয়নকে পিছনে ঠেলে ষড়যন্ত্র
এই জনপ্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার চেষ্টা শুধু অনৈতিকই নয়, তা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিরও অন্তরায়। বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, ও ডিজিটাল উন্নয়নে তাঁদের ভূমিকা ছিল স্পষ্ট, যা অস্বীকার করা যাবে না।
🛑 উদ্দেশ্য স্পষ্ট: গণতন্ত্র ধ্বংস
বৈদেশিক চক্রান্ত ও অভ্যন্তরীণ অপশক্তি এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করতে চায়। দেশের প্রকৃত নেতাদের বাদ দিয়ে একদল অনির্বাচিত গোষ্ঠীর মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা করার প্রচেষ্টা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।
📣 সমাধান ও আহ্বান
এই অবৈধ সরকারের অবসান না হলে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
🔹 আটক এমপিদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে
🔹 অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ, আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে
🔹 দেশপ্রেমিক নাগরিক, রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে
এটাই সময় — দেশ, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় সক্রিয় হওয়ার।

 
                         
         
         
        