
ড. ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকার গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও উন্নয়নের ধারাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ভূ-রাজনৈতিক চুক্তি—সবকিছুই পড়েছে চক্রান্তের ছোবলে।
কলাম লিখায়ঃ জি ইসলাম
ড: ইউনুসের মিথ্যাচার ও প্রতিহিংসায় বিপন্ন বাংলাদেশ: অবৈধ সরকারের অপকৌশলে দেশ ধ্বংসের পথে।
বাংলাদেশ এখন এক গভীর রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকটে। আন্তর্জাতিক চাপ ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের ফলশ্রুতিতে একটি অনির্বাচিত, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আসীন হয়েছে, যার মুখপাত্র হয়ে উঠেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি যেভাবে নিজেকে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের’ প্রধান হিসেবে উপস্থাপন করছেন, সেটি সরাসরি সংবিধান লঙ্ঘন এবং জনগণের রায়কে অগ্রাহ্য করার নামান্তর।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক সাফল্যের রোল মডেলে পরিণত হয়েছিল, সেই ধারা আজ থমকে গেছে। ইউনুসের নেতৃত্বে একটি নতুন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো আমদানি-নির্ভর করে ফেলছে, যার ফলে দেশ আবার ঋণনির্ভর হয়ে পড়ছে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই সরকার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পুনর্বাসনের পথ সুগম করছে। যুদ্ধাপরাধী পরিবার থেকে উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়ে তারা স্বাধীনতার চেতনাকে পদদলিত করছে।
ড. ইউনুস সম্প্রতি এমন চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছেন, যার ফলে বাংলাদেশে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। একইসাথে বন্দর, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও যোগাযোগ অবকাঠামো বিদেশি শক্তির হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
এই সরকার না আছে জনগণের ভোটে নির্বাচিত, না আছে সাংবিধানিক ভিত্তি। তাই তাদের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা একটি সাংবিধানিক অপরাধের নামান্তর। এই ষড়যন্ত্রে শুধু গণতন্ত্রই নয়, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্বও আজ চরম হুমকির মুখে।
বাংলাদেশের জনগণ যদি এখনই রুখে না দাঁড়ায়, তাহলে অচিরেই দেশ পরিণত হবে বিদেশি স্বার্থান্বেষীদের দখলে থাকা একটি উপনিবেশে।

 
                         
         
         
        